বাংলাদেশ টেলিভিশন (BTV) 'নতুন কুঁড়ি-২০২৫' প্রতিযোগিতার সফল আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আয়োজনকে সফল করতে, বিটিভি একটি সমন্বয় সভার আয়োজন করেছে।
সমন্বয় সভার মূল উদ্দেশ্য
এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য হবে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা এবং একটি সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা তৈরি করা। এই সভায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পেতে পারে:
* সময়সূচী নির্ধারণ: কখন থেকে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে, অডিশন, বিভিন্ন রাউন্ড এবং ফাইনাল কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত সময়সূচী তৈরি করা।
* বিভাগ ও নিয়মাবলী: কোন কোন বিভাগে (যেমন - গান, নাচ, আবৃত্তি, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন) প্রতিযোগিতা হবে এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী কী হবে, তা চূড়ান্ত করা।
* বিচারক নির্বাচন: প্রতিটি বিভাগের জন্য যোগ্য ও স্বনামধন্য বিচারক প্যানেল নির্বাচন করা।
* প্রচার ও প্রসার: দেশব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রচারের জন্য একটি কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করা। এর মধ্যে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
* বাস্তবায়ন: প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ, যেমন - অডিশন কেন্দ্র নির্বাচন, অংশগ্রহণকারীদের ব্যবস্থাপনা, কারিগরি সহায়তা এবং আর্থিক বাজেট নিয়ে আলোচনা করা।
কারা এই সভায় অংশ নিতে পারেন?
সমন্বয় সভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নিতে পারেন, যাতে প্রতিযোগিতার প্রতিটি দিক নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করা যায়। এদের মধ্যে থাকতে পারেন:
* বিটিভি'র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা: মহাপরিচালক, পরিচালক (অনুষ্ঠান), প্রমুখ।
* প্রযোজনা দলের সদস্য: যারা প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রযোজনায় যুক্ত থাকবেন।
* বিখ্যাত শিল্পী ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি: যাদের অভিজ্ঞতা প্রতিযোগিতার মান উন্নয়নে সাহায্য করবে।
* গণমাধ্যম ও প্রচারণার দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিরা: যারা প্রচার কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবেন।
* স্পন্সর এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি: যদি কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক বা অন্যভাবে সহযোগিতা করে থাকে।
এই ধরনের একটি সমন্বয় সভা 'নতুন কুঁড়ি-২০২৫' প্রতিযোগিতাকে সফল ও ত্রুটিমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস